Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১১ জুন ২০২৩

কুমিল্লা সেনানিবাসের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ

 

☼  ২১/১২/১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার গেজেট নোটিফিকেশন নং-১০০০/৫১ মূলে কুমিল্লা জেলাধীন কোতয়ালী থানার অন্তর্গত ময়নামতি পাহাড়ি এলাকায় ১৮৫৪.৯৩ একর ভূমি হুকুম দখলের মাধ্যমে কুমিল্লা সেনানিবাস ঘোষিত হয়। কুমিল্লা শহরের ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে  কুমিল্লা সেনানিবাস অবস্থিত।

☼   সেনানিবাস স্থাপনের ইতিহাসের গোড়ায় দেখা যায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধচলাকালীন ব্রিটিশরা অত্র সেনানিবাস এলাকায় ঘাঁটি স্থাপন করে যুদ্ধ পরিচালনার মাধ্যমে প্রথম সেনানিবাসের গোড়া পত্তন করেন।

☼   ১৪তম পাঞ্জাব রেজিমেন্ট ময়নামতিতে তাদের ঘাঁটি স্থাপন করেন এবং তাঁদের তাবু বর্তমান সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল এলাকায় স্থাপিত হয়েছিল। ময়নামতি রাণী কুটিরে তাদের অফিসার্স মেস স্থাপন করেছিল।

☼   পরবর্তীতে ব্রিগেডিয়ার রাও ওমরাও খানের নেতৃত্বে এখানে একটি ব্রিগেড স্থাপিত হয়।
☼   জনাব আবদুল জলিল খান ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে প্রথম দায়িত্ব পালন করেন। 

 

২। ক্যান্টনমেন্টের সংজ্ঞাঃ

 
   নিয়মিত সামরিক ব্যারাক নির্মাণের জন্য ক্যান্টনমেন্ট এ্যাক্ট-১৯২৪ সনের ৩(১) ধারা অনুযায়ী সরকার কর্তৃক গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ঘোষিত কোন স্থান বা স্থানের অংশ বিশেষকে ক্যান্টনমেন্ট বলা হয়।  

 উক্ত আইনের ১৩(১) ধারা মোতাবেক সেনানিবাসকে ০৩ (তিন) শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে-

(ক) ১ম শ্রেণির ক্যান্টনমেন্ট (যার বেসামরিক জনসংখ্যা ১০,০০০ এর বেশী)।
(খ) ২য় শ্রেণির ক্যান্টনমেন্ট (যার বেসামরিক জনসংখ্যা ২,৫০০ এর বেশী কিন্তু ১০,০০০ এর কম)।
(গ) ৩য় শ্রেণির ক্যান্টনমেন্ট (যার বেসামরিক জনসংখ্যা ২,৫০০ এর কম)।    

৩। ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডঃ
   ক্যান্টনমেন্ট এ্যাক্ট-১৯২৪ এর ১০ ধারা অনুযায়ী প্রত্যেক সেনানিবাসে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড গঠন করা হয়। ক্যান্টনমেন্টের নাম  অনুসারে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের নামকরণ করা হয়।  উক্ত আইনের ১২ ধারা অনুযায়ী সরকার ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডে ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার নিয়োগ প্রদান করেন। আইনের ১৩(এ) ধারা অনুযায়ী স্টেশন কমান্ডার ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের  সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

৪। সেনানিবাসের জমির শ্রেণি বিভাগঃ

  ক্যান্টনমেন্ট ল্যান্ডস ম্যানুয়েল ১৯৩৭ এর ৪ ধারা অনুযায়ী সেনানিবাসের জমিকে ০৩(তিন) শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে।


১। ‌’এ’ শ্রেণি-  শুধুমাত্র সামরিক কাজে বর্তমানে ব্যবহৃত ও ভবিষ্যতে এ কাজে ব্যবহারযোগ্য জমি।
২। ‘বি’ শ্রেণি-  সামরিক ভূ-সম্পত্তি প্রশাসক এর নিকট ন্যাস্তকৃত জমি এ শ্রেণির অন্তর্ভূক্ত। সরাসরি   সামরিক কাজে ব্যবহৃত নয় কিন্তু সামরিক প্রশাসনিক কাজের সহায়তাকারী হিসেবে   সরকারের অন্যান্য বিভাগ/দপ্তর নির্মাণের নিমিত্ত ব্যবহৃত জমি এবং কৃষি/পরিত্যক্ত   জমি।
৩। ‘সি’ শ্রেণি -  ১৯২৪ সালের ক্যান্টনমেন্ট এ্যাক্ট এর ১০৮ ধারা অনুযায়ী  ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের নিকট   ন্যস্তকৃত জমি।  
৫। ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড গঠনঃ

১৯২৪ সনের ক্যান্টনমেন্ট এ্যাক্ট এর ১৩ এ (১) ধারামতে ১ম শ্রেণীর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড নিম্নলিখিতভাবে গঠিতঃ-

 

(ক) সভাপতিঃ   স্টেশন কমান্ডার  পদাধিকার বলে
(খ) সদস্যঃ  ০১ ×  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট  জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক মনোনীত
(গ) সদস্যঃ  ০১ ×   স্বাস্থ্য কর্মকর্তা  সভাপতি কর্তৃক মনোনীত
(ঘ) সদস্যঃ  ০১ ×   নির্বাহী প্রকৌশলী  সভাপতি কর্তৃক মনোনীত
(ঙ) সামরিক/বেসামকরিক সদস্যঃ   ০৪ ×   সভাপতি কর্তৃক মনোনীত
(চ) সচিবঃ  ০১ ×   ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার পদাধিকার বলে

১৯২৪ সনের ক্যান্টনমেন্ট এ্যাক্ট এর ১৩ এ (২) ধারামতে ২য় শ্রেণীর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড নিম্নলিখিতভাবে গঠিতঃ-

 

(ক) সভাপতিঃ  ০১ ×   স্টেশন কমান্ডার  পদাধিকার বলে
(খ) সদস্যঃ  ০১ ×   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট  জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক মনোনীত
(গ) সদস্যঃ  ০১ ×   স্বাস্থ্য কর্মকর্তা  সভাপতি কর্তৃক মনোনীত
(ঘ) সদস্যঃ  ০১ ×   নির্বাহী প্রকৌশলী  সভাপতি কর্তৃক মনোনীত
(ঙ) সামরিক/বেসামরিক সদস্যঃ  ০৩ ×   সভাপতি কর্তৃক মনোনীত
(চ) সচিবঃ  ০১ ×   ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার পদাধিকার বলে